পড়বে না পড়বে না করেও জাঁকিয়ে শীত পড়েই গেছে। আর গুটি গুটি করে পা ফেলেছে মাঘ মাসও। করোনার আতঙ্ক যতই থাক, এর মাঝেই মানুষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন আবার বিয়ে বাড়িতেও নিমন্ত্রন্ন। মাঘ মাস মানেই বিয়ে বাড়ি আর তার সঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়া। পরিস্থিতি যেমনই থাক, বাঙালি বিয়ে বাড়ি মোটেই ভাবা যায় না শাড়ি ছাড়া। শাড়ির সঙ্গে কী ভাবে শীত পোশাককে ক্যারি করতে হবে, এই ভেবে এখন চিন্তা করার দিনও গেছে। তার কারণ, এখন ড্রেপিংয়ের কায়দায় শাড়ির সঙ্গে দিব্যি মানাচ্ছে জ্যাকেট থেকে সোয়েটার, ব্লেজার থেকে শালের কোট।
তাই চলুন জেনে নেই কিভাবে শাড়ির সাথে মানিয়ে শীতের পোশাক পড়বেন
১) টার্টাল নেক বা হাই নেক আর ফিটেড সোয়েটার
এমন অনেক মানুষই আছেন, যাঁরা শীতে কাবু হয়ে পড়েন একটুতেই। বিশেষ করে ঠান্ডা লাগার ধাত যাঁদের, তাঁরা চাইলেও হালকা করে শাল কাঁধে ফেলে বিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন না। তবে এর জন্য তো আছে টার্টল নেক আর ফিটেড সোয়েটার। টার্টল নেক কিংবা হাই নেক কোনও সোয়েটার পরুন। তার সঙ্গে শাড়ি পরুন কায়দা করে। চাইলে কুচির পর কুচি করে প্লিট করে ফেলতে পারেন আঁচল। আবার একেবারে সিঙ্গল প্লিট করে ছেড়েও রাখা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে একটা কথা খেয়াল রাখা ভাল। যদি টার্টল নেক বা হাই নেক একরঙা হয়, তা হলে শাড়ি হোক ঝলমলে। আবার এর ঠিক উলটোটাও করা যেতে পারে। অর্থাৎ আপনি নিজের সোয়েটারটাকেই হাইলাইট করতে চাইছেন। সে ক্ষেত্রে হালকা বা একরঙা শাড়ি পরুন। সে ক্ষেত্রে সঙ্গের সোয়েটার বাছুন কন্ট্রাস্টিং বা সুন্দর কারুকার্য করা।
২) ফক্স ফার কোর্ট
অনেকেই বিয়ে বাড়িতে একটু সাহসী হতে চান। সাহসী হওয়া মানেই উন্মুক্ত বা খোলামেলা পোশাক পরা নয়। কেমন ভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করছেন, সাহসী হওয়া যায় তা দিয়েও। তাই সঙ্গে নিন জমকালো ফার কোট। ফক্স ফারের প্রাধান্যই এ ক্ষেত্রে বেশি। তবে মনে রাখবেন, এই সাজে কিন্তু নজর যাবে ফক্স ফারের দিকেই। ফলে কোন শাড়ির সঙ্গে কেমন ফার বাছছেন, সেটা ভেবে দেখা জরুরি। আর আচঁল টা সুন্দর করে পঁচিয়ে গোলা দিয়ে নিতে পারেন।
৩) কার্ডিগেন বা ব্লাজা
শীতকালে শাড়ির সঙ্গে ব্লেজার পরতে গেলে দু’হাত গলিয়ে নিয়ে আঁচল ফেলতে পারেন আর এক কাঁধের উপর দিয়ে। অথবা প্লিট করে শাড়ি পরে হালকা করে দুই কাঁধের উপরে ফেলে রাখতে পারেন স্টাইলিশ ব্লেজার। তবে যাই করুন না কেনো এ ক্ষেত্রে ব্লেজার বা কার্ডিগানের বোতাম লাগালেই কিন্তু সাজ মাটি। তাই ব্লেজার বা কার্ডিগেন পড়লে বোতাম খালা রাখুন।
৪) এয়ারহোস্টেড ভারী ব্লাউজ
অনেক সময়ে শীত কমে আসে। তখন হালকা কিছু পরে নিলেই কেটে যায় শীত। সেক্ষেত্রে প্রিন্টেড কিংবা ব্রোকেডের ভারী ফুল স্লিভ ব্লাউজ বেছে নিন। শাড়ির চাইতে যদিও এই ব্লাউজের দিকেই নজর যাবে বেশি। কিন্তু এতে শীতও কাটবে, আবার ফ্যাশনেবলও লাগবেও বেশ।
৫) শালের জুড়ি নেই
শাড়ির সঙ্গে সবচেয়ে সহজ যায় শাল। তবে কেমন শাল নিচ্ছেন, সেটা এ ক্ষেত্রে ভীষণ জরুরি। দামি পশমিনা যে কোনও শাড়ির সঙ্গে বেশ মানায়। শাড়ির সঙ্গে শাল নেওয়ার মজা হল, এক কাঁধে যেমন শাল ফেলে রাখা যায়, তেমন শীত বাড়লে হালকা করে শালের ওমেও জড়িয়ে নেওয়া যায় নিজেকে।
তবে জ্যাকেট, সোয়েটার, শাল, কার্ডিগান, কোট বা ফার… শাড়ির সঙ্গে যেটাই বাছুন না কেন, মেক আপ এবং গয়না বাছার ব্যাপারে সচেতন হবেন। অর্থাৎ যেখানে একটা জমকালো বেল্ট বা কোমরবন্ধনী নিচ্ছেন নিজেকে একটু আলাদা ভাবে প্রেজেন্ট করতে চান সেখানে ভারী নেকলেস পরা না-ও মানাতে পারে। আবার ডেনিমের সঙ্গে ভারী সোনাও মানিয়ে যেতে পারে ক্যারি করার দৌলতে। তাই ম্যাচিং টা কিন্তু আপ্নাকেই করতে হবে।