আলমারির আর দশটা দামি শাড়ির সঙ্গে মেলানো যাবে না, হ্যান্ড পেইন্ট শাড়িটি। কারণ এই শাড়ি একটি ক্যানভাস যেখানে তুলির আঁচড়ে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পায়, আর প্রিয়জনের শরীরে জড়িয়ে শাড়িটিও হয়ে ওঠে স্বপ্নের একটি অংশ।
বিশেষ এই ভালোবাসার শাড়ির যত্নটাও তো বিশেষই হতে হবে। এটি যে আভিজাত্য, রুচি আর ভালোবাসার মিশ্রণ। কেউ যখন শখ করে হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি কিনেন বা তৈরি করেন, তার সঠিক সংরক্ষণ করতে জানাটাও জরুরি। নইলে পরিশ্রম-সাধ সব বিফলে যেতে পারে।
একটি শাড়ি যে যুগের পর যুগ সুন্দরভাবে অক্ষত থাকতে পারে তা আমরা নানি দাদিদের সংরক্ষণ দেখেই বুঝতে পারি। এটা শুধু শুধু হয়নি, তার জন্য মানতে হয় বিশেষ কিছু নিয়ম।
হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি সংরক্ষণের কিছু ঘরোয়া নিয়ম:
- কাপড়কে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে নিমপাতা। নিমপাতা ভালোভাবে শুকিয়ে হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে রেখে দিতে হবে।
- কড়া রোদ কাপড়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই সম্ভব হলে হালকা রোদে অথবা যেখানে প্রচুর আলো বাতাস যাওয়া আসা করে সেখানেই হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি শুকনো ভালো।
- মসলিন, সিল্ক, হ্যান্ডলুম, কটনসহ সব ধরনের আঁকা শাড়ি ড্রাই ওয়াশ করে নিলে দীর্ঘ দিন নতুনের মতো থাকবে।
- হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি বারবার না ধোয়াই ভালো। যদি একান্তই বাড়িতে ধুতে হয় তাহলে কম ক্ষারযুক্ত লিকুইড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
- সরাসরি আয়রন করা যাবেনা, উল্টো পিঠে অথবা পাতলা কাপড় হ্যান্ড পেইন্ট কাপড়ের ওপর রেখে আয়রন করতে হবে।
- নতুন হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি কেনার পর কয়েক দিন হালকা রোদে শুকাতে হবে।
- প্রতিবার ব্যবহারের পর শাড়ি বাতাসে না শুকানো পর্যন্ত ভাঁজ করা যাবে না।
- দুই মাসে একবার অথবা কমপক্ষে বছরে দু’বার শাড়ি বের করে আলো বাতাসে রাখুন পুরো দিন।
- খুব সাধারণভাবে এই নিয়মগুলো মানলেই পছন্দের হ্যান্ড পেইন্ট শাড়িটি ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।